আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, “তোমরা আমার যিকির কর। আমি তোমাদের যিকির করব” (বাকারা: ১৫২)। আল্লাহর এই যিকির মুমিনদের জীবনের অন্যতম সঞ্চয়। এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও সাওয়াব লাভের অন্যতম মাধ্যম এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হৃদয়কে রক্ষা করার অপরিহার্য উপায়। আল্লাহর যিকির মুমিনের চিন্তা, উৎকণ্ঠা, এবং হতাশা থেকে মুক্তির পথ দেখায়। ভারাক্রান্ত মানব হৃদয়কে হিংসা, বিদ্বেষ, বিরক্তি, অস্থিরতা ইত্যাদির বোঝা থেকে মুক্ত করার একমাত্র উপায়ও এটি। যিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের কামনা ও তাকওয়া হৃদয়ে দৃঢ়ভাবে সঞ্চারিত হয়। তাছাড়া, জাগতিক লোভ-লালসা থেকে মুক্তি পেয়ে, আল্লাহর পথে নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য যিকির হলো সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, যিকিরের এই মহান উদ্দেশ্য কখনো কখনো ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। যিকির, দু'আ, দরুদ এবং ওযীফার নামে বিভিন্ন বুজুর্গের তৈরি করা শব্দ ও নিয়ম পালন করা হচ্ছে, অথচ রাসূল (সা.)-এর পথ ভুলে যাওয়া হচ্ছে। সেই পথের প্রকৃত শিক্ষা ও উদ্দেশ্য ধরে রাখার লক্ষ্যে ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রচনা করেছেন "রাহে বেলায়াত"। এই গ্রন্থে তিনি রাসূলের (সা.) দেখানো পথে আল্লাহর যিকিরের প্রকৃত গুরুত্ব এবং সঠিক পদ্ধতি তুলে ধরেছেন।

কেন পড়বেন:

"রাহে বেলায়াত" গ্রন্থটি মূলত সেই সকল পাঠকের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং যিকিরের প্রকৃত তাৎপর্য বুঝতে চান। বইটি পাঠকদেরকে শিরক ও বিদ'আতের অন্ধকার থেকে সরল পথে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবে। এটি রাসূল (সা.)-এর দেখানো পথ অনুসরণ করে আল্লাহর যিকির করার সঠিক পদ্ধতি শেখাবে।

উৎসাহ:

বইটি পড়ার মাধ্যমে আপনি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে, জীবনের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাটাতে, এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন। এটি আপনার যিকিরের অভ্যাসকে পরিশুদ্ধ করে, তা সঠিক পথে পরিচালিত করবে।