বই : সূরাভিত্তিক তাফসীর সূরা আল মুমিন থেকে সূরা আল কাহফ ১১তম খণ্ড

লেখক: শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

সম্পাদক: মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল

প্রকাশনী: ইমাম পাবলিকেশন্স লিঃ

বিষয়: কুর’আন ও তাফসীর

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩১৯

কভার: পেপারব্যাক

সূরা আল-কাহফ (কাহফ)

সূরা: ১৮ (সূরা আল কাহাফ)
আয়াত সংখ্যা: ১-১১০
অবতীর্ণ স্থান: মক্কা

মূল অংশ (আয়াত ১-১০০):

১. মুমিনদের জন্য শুভসংবাদের বাণী:

• যারা আল্লাহর জন্য সৎ কাজ করে এবং কুফর থেকে বিরত থাকে।

২. কাহফের গল্প:

• কাহফের মালিকদের মধ্যে দুষ্টলোকদের গল্প এবং তাদের ক্ষমতা ও উল্টোপাল্টা ধারণার বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা।

৩. মূসা (আ.) ও খিদর:

• মূসা (আ.) এবং খিদরের কাহিনী এবং তাদের উক্তি ও কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা।

৪. যালিম রাজার গল্প:

• মূসা (আ.)-এর যুগের যালিম রাজা এবং তার আচরণের উল্লেখ।

৫. দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজের উত্থান:

• দাজ্জাল এবং ইয়াজুজ মাজুজের সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী ও তাদের কিয়ামতের দিন আগমনের আলোচনা।

৬. স্রষ্টার তাওহিদ:

• আল্লাহর একত্ব এবং তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ সম্পর্কে আলোচনা।

মূল শিক্ষা ও বিষয়বস্তু:

1. মুমিনদের সাফল্য:
• যারা সৎ কাজ করে এবং কুফর থেকে বিরত থাকে।
2. প্রশ্ন ও উত্তর:
• মূসা (আ.) এবং খিদরের মধ্যে আলোচনা এবং শিক্ষা।
3. বিরুদ্ধতার বিরুদ্ধে সতর্কতা:
• শিরক ও কুফরের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী এবং আল্লাহর একত্বের প্রমাণ।
4. শেষদিনের ঘটনা:
• কিয়ামতের দিন ও এর প্রস্তুতির আলোচনা।
5. বিশ্বাসের চ্যালেঞ্জ:
• জীবনের বিভিন্ন সমস্যার বিরুদ্ধে বিশ্বাস ও ধৈর্যের গুরুত্ব।

সূরা আল-কাহফের পাঠের ফজিলত:

• এই সূরাটি কিয়ামতের দিন আল্লাহর রক্ষা প্রদান করবে।
• জীবনের পরীক্ষা ও চ্যালেঞ্জের প্রতি ধৈর্য ধারণের শিক্ষা।
• মুমিনদের জন্য শুভসংবাদের প্রেরণা।

সূরা আল-মু’মিন (মুমিন)

সুরা: ৪০
আয়াত: ১-৮৫
মক্কায় অবতীর্ণ

মূল অংশ

আয়াত ১-৪০:

১. আল-মু’মিনের উল্লেখ:

• প্রথমে মুমিনদের চরিত্র ও তাদের প্রতি আল্লাহর সাহায্য ও ক্ষমা প্রদানের ঘোষণা।

২. ফিরআউন ও তার মন্ত্রীরা:

• ফিরআউনের কপটতা ও মূর্খতা, তার মন্ত্রীরা এবং আল্লাহর নির্দেশাবলী উপেক্ষার বিষয়।

৩. হুমায়ূন, কোরুন এবং ফেরাউন:

• অতীতের শক্তিশালী ও জুলমকারী শাসকদের সম্পর্কে আলোচনা ও তাদের পরিণতি।

৪. নূহ (আ.) এবং মূসা (আ.)-এর কাহিনী:

• নূহ (আ.) ও মূসা (আ.)-এর জাতির সাথে সম্পর্কিত ঘটনা ও শিক্ষা।

৫. স্রষ্টার ক্ষমতা ও ঐশ্বরিক অঙ্গভঙ্গি:

• আল্লাহর ক্ষমতা, তাঁর হুকুমের বাস্তবতা ও সার্বভৌমত্বের প্রমাণ।

মূল শিক্ষা ও বিষয়বস্তু:

1. মুমিনদের শীল ও চরিত্র:
• মুমিনদের সৎতা, চরিত্র ও তাদের প্রতি আল্লাহর সাহায্য এবং বিশ্বাসের গুরুত্ব।
2. ফিরআউন ও তার মন্ত্রীরা:
• ফিরআউনের শক্তির অহংকার ও আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে যাবতীয় বিরোধিতা।
3. ইতিহাসের শিক্ষা:
• অতীতের জুলমকারী শাসকদের দুর্দশা ও তাদের পরিণতির শিক্ষা।
4. বিচার ও পরিণতি:
• যারা আল্লাহর নির্দেশনা উপেক্ষা করে তাদের কঠোর পরিণতি।
5. আল্লাহর ক্ষমতা ও বাস্তবতা:
• আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও তাঁর শাসন-কর্মের বাস্তবতা।

সূরা আল-মু’মিনের পাঠের ফজিলত:

• মুমিনদের উন্নতি ও আল্লাহর সাহায্যের প্রতিশ্রুতি।
• বিশ্বাস ও ধৈর্যের শিক্ষা।
• জীবনের বিভিন্ন পরীক্ষায় সহনশীলতা ও আল্লাহর সাহায্য লাভের উৎসাহ।

সূরা আল কাহাফ এবং সূরা আল মুমিনুন

কেন পড়বেন:

• সূরা আল কাহাফ:
• আলোচ্য বিষয়: সূরা আল কাহাফের পাঠ আল্লাহর নূর ও রহমত লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, জুমার দিন এই সূরা পাঠ করলে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত আল্লাহর নূর লাভ হয়। দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যও সূরার প্রথম ১০ আয়াত পাঠের তাগিদ রয়েছে।
• শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা: গুহাবাসীদের কাহিনী, দুনিয়ার সাময়িক প্রকৃতি, হযরত মূসা (আ.) ও খিজির (আ.) এর কাহিনী, এবং যুলকারনাইন এর কাহিনী মাধ্যমে ঈমানের শক্তি, ধৈর্য, এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাসের শিক্ষা পাওয়া যায়।
• সূরা আল মুমিনুন:
• আলোচ্য বিষয়: মুমিনদের গুণাবলি, আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শন, নবীদের কাহিনী, এবং কিয়ামতের দিন সম্পর্কে সূরা আল মুমিনুন বিস্তারিত আলোচনা করে। এটি একটি নির্দেশনা দেয় যে কীভাবে একজন মুমিন আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারে এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করতে পারে।
• শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা: নামাজে খুশু রাখা, অর্থহীন কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা, যাকাত প্রদান করা, এবং আখিরাতের প্রস্তুতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

উৎসাহ 

• আত্মিক উন্নতি: এই দুই সূরা পাঠের মাধ্যমে আত্মিক শান্তি ও স্থিরতা লাভ করা সম্ভব। এগুলো মুমিনদের ঈমানকে শক্তিশালী করে এবং জীবনের সঠিক পথ নির্ধারণে সহায়তা করে।
• ধৈর্য ও বিশ্বাস: সূরা আল কাহাফ ও সূরা আল মুমিনুন পড়লে ধৈর্য, বিশ্বাস, এবং আল্লাহর প্রতি নির্ভরতার শিক্ষা পাওয়া যায়, যা জীবনের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক।
• আখিরাতের প্রস্তুতি: দুনিয়ার সাময়িকতা ও আখিরাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করে, মুসলমানদেরকে আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে উৎসাহিত করে।