তাওবা তো করতে চাই কিন্তু

লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
প্রকাশনী: হুদহুদ প্রকাশন
বিষয়:  আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা বই (বাংলা)


আমি এক অপরাধী। এমন কোনো অপরাধ নেই যা আমি করিনি।
তবে হঠাৎ একদিন আমার মধ্যে ভাবনার উদ্রেক হয়। নিজেকে তুচ্ছ মনে করি। বলি, হায়! তুমি না মাখলুকাতের আশরাফ, এসব কী তুমি করছো? এ জীবন তো আমার জীবন নয়। অনিষ্টের এই জীবনের জন্য তো আমার সৃষ্টি হয়নি। কত বড় ধৃষ্টটা, তার স্রষ্টার কথা মানে না। তার জীবনের চাকা ঘুরছে মন চাহি। ভাবতে ভাবতে বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। ভাবি, এভাবে বেঁচে থাকার কোনো মানে হয় না।হতাশ  হয়ে যাই এবং আত্মহত্যার পথ খুঁজি। আর ভাবি, এটি তো এমন এক পথ যে পথে গেলে জীবনের তরে শেষ হয়ে যাবে। নরক হবে চূড়ান্ত ঠিকানা। তবে এখন কী করা যায়?

এই সময় আমার এক সতীর্থ আমাকে বলল, “দুশ্চিন্তা করো না। চিন্তা করো। তুমি শায়খ মুনাজ্জিদের নিকট সমাধান চাও। আশা করি, তিনি তোমাকে উত্তরণের একটি সুন্দর পথ বাতলে দেবেন।” যেমন বলা তেমন কাজ। শায়খের নিকট পত্র পাঠালাম।

উত্তর এলো:
“নিরাশ হয়ো না তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে। একনিষ্ঠ চিত্তে আল্লাহর কাছে তওবা করো। অনিষ্টতা না হওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও। সর্বক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করো আল্লাহর কাছে। নেক কাজ বাড়িয়ে দাও এমন পরিমাণে, যাতে তা অনিষ্টতার ওপর প্রাধান্য পায়। মনে রাখবে, মহান আল্লাহর মহানুভবতা অপরিসীম। তিনি অপেক্ষা করেন কখন তাঁর বান্দা তাঁর দিকে ফিরে আসবে এবং তিনি ক্ষমা করবেন। মুসলমানদের জন্য নিরাশ হওয়ার সুযোগ নেই, কারণ আল্লাহ তাদের তওবা নামক একটি নিয়ামত দান করেছেন।”

আসুন, এখনই আমরা তওবা করি—আমি, আপনি, সবাই।